খুলনা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ’র ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ৪টি পদে অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (৮মে) সকাল ১১টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে প্রগতি বিদ্যাপীঠের সামনে এই মানববন্ধনে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও কু-প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের সভাপতি সুরঞ্জন সুতার ও তার স্ত্রী দুর্গা রানী সুতার, প্রধান শিক্ষক বিমল কৃষ্ণ বৈরাগী, ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য তরিকুল ইসলাম, সদস্য পলাশ বিশ্বাস, ক্রীড়া শিক্ষক অনিষ বৈরাগী, অফিস সহকারী রথিন বৈরাগীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। তারা প্রতারণার মাধ্যমে যাদের স্কুলে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাত করেছে তাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী, সেই সাথে এই অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল পূর্বক স্কুল কমিটির দুর্নীতিবাজদের পদত্যাগ দাবী করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাবুল মহালদার, প্রেমা রায়, বিউটি মালী ও ইতিমা মন্ডল। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, তাদের গোয়ালের গরু, বসত ভিটা ও ব্যাংকের সঞ্জিত অর্থ ভেঙ্গে তারা অভিযুক্তদের টাকা দিয়েছে, অথচ তাদের চাকরি না দিয়ে অধিক অর্থের বিনিময়ে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ভুক্তিভোগী প্রেমা রায়ের কাছ থেকে শুধু টাকাই নেয়নি, তাকে অভিযুক্তরা কু-প্রস্তাব দেয়। এতে প্রেমা রায় হরিণটানা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্কুল কমিটির সভাপতি সুরঞ্জন সুতার গ্রেফতার হলেও বাকী আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে। মানববন্ধনে তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়।
এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জলমা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য দেবব্রত মল্লিক। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিশ^জিৎ দে মিঠু, গণসংযোগ সম্পাদক সাংবাদিক বিমল সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রাম চন্দ্র পোদ্দার, হরিণটানা থানা সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, জলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ১নং ওয়ার্ড সভাপতি দেবেশ গোলদার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রুহুল আমিন ফারুক, হরিণটানা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও কৈয়া বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সুজয় মন্ডল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সোনাডাঙ্গা থানা সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়, প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের অভিভাবক সদস্য জাকির লস্কর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পূজা পরিষদ নেতা রবীন দাস, পাপ্পু সরকারসহ স্থানীয় উৎপল রায়, রশিদ সানা, সৌমিত্র বৈরাগী, দেবেন্দ্রনাথ বৈরাগী, নুর হোসেন কাজী, সুকেশ রায়, সদানন্দ মালী, কবির আকন, সুমঙ্গল কবিরাজ, লিটন মন্ডল, মোস্তফা কামাল, সাগর সানা, শেখ সাইফুল ইসলাম, রবিন্দ্রনাথ রায়, সুকেশ কবিরাজ, সরোজ ভট্টচার্য্য, সুকদেব মহলদার, নির্ঝর রায়, জয়ন্ত রায়, পাপ্পু রায়, সঞ্জিত মালী, তৃপ্তি রায়, কবিতা রায়, প্রভাতী ঢালী প্রমুখ। এছাড়া রাজবাঁধ, হোগলাডাঙ্গা, নিজখামার, জয়খালী, কৈয়া বাজার ও শোলমারী এলাকার বিপুল সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতিবাদী মানুষ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
সংগৃহীত:usharalo.com
No comments:
Post a Comment