কণ্ঠনীল

বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ


Breaking

Tuesday, September 16, 2025

September 16, 2025

নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন


 খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার, অবৈধভাবে কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের কমিটি গঠন ও রাধা মাধব মন্দিরের রান্না ঘর দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র। গত ১২ সেপ্টেম্বর কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের নামে নানা অপপ্রচারের জবাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধভাবে গঠিত কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ কমিটির কতিপয় সদস্য পূজার ভোগ রান্নার স্থানটি জোরপূর্বক দখল নিয়ে সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করতে চায়। কিন্তু কোন ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার সুযোগ নেই। একইভাবে বিগত ৮-১০ বছর পূর্বে দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী ও কৃষ্ণপদ রায় ওরফে কেপি রায় দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভবনের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছিল। তৎকালীন প্রশাসনের ভৎর্সনায় তারা পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ করতে বাধ্য হন। ওই সময় তাদের উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় পুনরায় তারা একই চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা অপপ্রচার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মন্দির ও কলেজের অভ্যন্তরিন বিষয়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। অথচ কলেজ কমিটির অবৈধ সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী তার সংবাদ সম্মেলনে পূজা উদযাপন পরিষদেরর সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডসহ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যে মিথ্যাচার, শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও অনৈতিক বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনের কোন সদস্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নন। রাজনৈতিক দলের যে ট্যাগ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণিত ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা মাত্র। চিন্ময় দাস প্রভুর পান্ডা হিসেবে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বরং ব্যক্তি আক্রোশ ও অন্যকে হেয় করার নোংড়া মানসিকতা। কেননা চিন্ময় দাস প্রভুর “সনাতনী জাগরণ মঞ্চ” নামে একটি সংগঠন রয়েছে। খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কেউ এই সংগঠনের সাথ জড়িত নন।

কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী সম্পর্কে অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বসে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ও আমিষ জাতীয় খাবার খান। অথচ ভগবানের ভোগ ও ভক্তদের প্রসাদ রান্নার সময় সেবায়েতদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। মন্দির অভ্যন্তরে কলেজ সভাপতির এধরণের আচরণ শোভনীয় নয়। এছাড়াও বিগত কলেজ কমিটির সভাপতি সরকারি বিএল কলেজ ও সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যাপক সুধীর কুমার পালকে চরমভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন বর্তমান কলেজ কমিটির অবৈধ সভাপতি দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী। এতে দুঃখ পেয়ে সুধীর কুমার পাল পদত্যাগ করেন। আরও অভিযোগ করে বলা হয়, কলেজের পাশেই দেবাংশু কুমার চক্রবর্তী “সেন্ট্রাল ক্লাব” নামে একটি ক্লাব পরিচালনা করতো। তার তত্ববধানে ওই ক্লাবে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসানো হতো। এসকল অপকর্ম পুনরায় চালু করতেই তিনি মন্দির থেকে সেবায়েত ও সাধু-সন্ন্যাসীদের বিতাড়িত করতে চান।

সংবাদ সম্মেলনের আরও বলা হয়, ‘কেঁশবচন্দ্র সংস্কৃত কলেজ, কেঁশবচন্দ্র সার্বজনীন মন্দির ও রাধা মাধব মন্দির একই আঙ্গিনায় অবস্থিত। দখল ও আধিপত্য বিস্তারের মানসিকতা পরিহার করে  তিনটি প্রতিষ্ঠানই সুন্দরভাবে একে অপরের প্রতি সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে পরিচালিত হোক মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ এটাই প্রত্যাশা করে। কোন প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা হয় এবং এবিষয়ে যদি সহযোগীতা কামনা করে কেবল সেই ক্ষেত্রেই মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহযোগীতা করে। সকলের মাঝে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সর্বদাই সচেষ্ট থাকে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পষিদের কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা বিজয় ঘোষ, খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা অশোক সেন, কমলেশ সানা, সভাপতি শ্যামল হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, যুগ্ম সম্পাদক তিলক গোস্বামী, বিশ^জিৎ দে মিঠু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানার্জী, আইন সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ মন্ডল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজিত মজুমদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত, সহ-সাস্কৃতিক সম্পাদক এ্যাড. আনন্দ কুমার ঘোষ, সহ-গণসংযোগ সম্পাদক রবীন দাস, শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দিরের সভাপতি শান্ত বৈকুণ্ঠ দাস ব্রহ্মচারী, প্রধান সেবায়েত বৈষ্ণব বলরাম দাস, কেঁশবচন্দ্র সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি সঞ্জীব বনিক, সাধারণ সম্পাদক শুভ্রদেব দে শুভ, দিপু সমাদ্দার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সদর থানা সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু সরকার, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজত কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক দিপক দত্ত, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, খানজাহান আলী থানা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্ত, হরিণটানা থানা সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, লবনচরা থানা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখর চন্দ্র পাল, আড়ংঘাটা থানা সভাপতি আশিষ কবিরাজ, তীর্থালোক সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, উজ্জল রায়, দুলাল সরকার, শ্যামল মিস্ত্রী, অসিত সরকার প্রমুখ।

September 16, 2025

ধর্মীয় বৈষম্য নয়, সমান মর্যাদা রাষ্ট্রের দায়িত্ব—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে

ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা প্রতিনিধি: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যত ধর্মীয় বা মতের পার্থক্যই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই বৈষম্য করার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়া।

সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সে যেই ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, ধনী বা গরিব—রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক।”

তিনি আরও বলেন, নাগরিকের সকল অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে। রাষ্ট্রের কোনো সরকারের অধিকার নেই কাউকে সামান্যতমও বঞ্চিত করার।

“জাতি একটি পরিবার”

ড. ইউনূস বলেন, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মতভেদ থাকতেই পারে, ব্যবহারের পার্থক্যও থাকতে পারে, কিন্তু পরিবার ভাঙা যায় না। আমাদের লক্ষ্য হলো পুরো জাতিকে এই অটুট পরিবারে রূপ দেওয়া।

নাগরিক অধিকার নিয়ে দৃঢ় অবস্থান

তিনি জোর দিয়ে বলেন, নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। মানুষ যেন মুক্তভাবে ধর্ম পালন করতে পারে, সেই অধিকার নিশ্চিত করাই নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।

ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমাকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হবে, কিন্তু আমি বলেছিলাম, যাবই। এই আনন্দ থেকে আমি দূরে থাকতে চাইনি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যরা

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে প্রমুখ।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

Tags: মুহাম্মদ ইউনূস, নাগরিক অধিকার, শারদীয় দুর্গাপূজা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, বাংলাদেশ সংবাদ

Monday, September 15, 2025

September 15, 2025

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও নজরদারি ক্যামেরা চুর

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও নজরদারি ক্যামেরা চুরি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও নজরদারি ক্যামেরা চুরি

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ পালপাড়া কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর এবং একটি নজরদারি ক্যামেরা (আইপি ক্যামেরা) চুরির ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকা এবং বৃষ্টির সুযোগে দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ সময় কার্তিক ও সরস্বতী প্রতিমার মাথা ও হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে নজরদারি ক্যামেরাটিও নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রশাসনের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা

ঘটনার খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।

মন্দির কমিটির বক্তব্

মন্দির কমিটির সভাপতি অমরেশ ঘোষ জানান, “লোডশেডিং চলাকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সামনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমার রংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন তা ব্যাহত হলো।”

পুলিশ ও র‌্যাবের প্রতিক্রিয়া

মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ভাঙচুর হওয়া প্রতিমার অংশ ও নিখোঁজ ক্যামেরা সম্পর্কে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হয়নি। তবে পুলিশ গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছে।

র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পুলিশ সুপারও উপস্থিত আছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।”

উপসংহার

দুর্গাপূজার আগে এ ধরনের হামলা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশ্বস্ত করেছে যে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

September 15, 2025

শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আহ্বান

শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আহ্বান — ঐক্য পরিষদ ও যুব ঐক্য

শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের আহ্বান

ঢাকা: পুরানা পল্টন — বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংগঠনগুলো।

শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশের যুব ঐক্য পরিষদের এক বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভা থেকে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা এবং নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সভায় উচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতি ও বক্তৃতা

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ। যুব ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব সহযোগে অংশগ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।

কী সিদ্ধান্ত গৃহীত?

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়— প্রতিটি জেলার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ও তত্ত্বাবধানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি, পূজামণ্ডপ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন, সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, এবং বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সম্প্রীতি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ।

স্থানীয় ও জাতীয় প্রাসঙ্গিক দিক

নেতারা উল্লেখ করেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান না—এটি জাতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ; সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ এটি সম্মিলিত মিলনমেলা হিসেবে পরিণত করে। তাই এসময় আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সৌহার্দ্য রক্ষা করা অপরিহার্য।

সভায় উপস্থিত নেতারা

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি সজীব বড়ুয়া; সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট পলাশ নাথ। বক্তব্য দেন— বলরাম বাহাদুর, শিমুল সাহা, সুবল ঘোষ, ধনঞ্জয় দাস ধনু, নিখিল বালা, রঞ্জিত সেন, সুজন রায়, অমিত ভৌমিক, সুদীপ্ত শর্মা, শুভদীপ শিকদার শুভ, অনিন্দ্য সাহা, বিপুল দেবনাথ, প্রহ্লাদ রায়, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার, শিউলী রায়, চন্দ্রা রায় চম্পা, উত্তম দাস, জয়দেব চক্রবর্তী ও জেলা প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের আহ্বান

সংগঠনগুলো নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— উৎসবকালীন সময়ে সহবস্থান, পারস্পরিক সম্মান ও আইন মেনে চলার মাধ্যমে উৎসব উদযাপন করতে এবং সম্ভাব্য কোন ধরনের উত্তেজনা রোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে।

উপসংহার

সভায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে আসন্ন দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা সযত্নে, সৌহার্দ্যে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে এবং দেশের সর্বস্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় হবে।

Wednesday, September 10, 2025

September 10, 2025

কালিগঞ্জে ১৯ মামলার আসামি ডাকাত সর্দার বাবুর ভয়ঙ্কর থাবায় নিঃস্ব এক হিন্দু পরিবার


চেতনানাশক স্প্রে করে চুরি, ডাকাতি, লুটপাটসহ নানা অপরাধের কারিগর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের জবেদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে স্প্রে বাবু (৩৩)। তার নামে সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, দেবহাটা ও  আশাশুনি থানা, মাগুরার শ্রীপুর ও শালিখা থানা, খুলনার বটিয়াঘাটা এবং বাগেরহাট থানায় রয়েছে অন্তত: ১৯ মামলা। এ সব মামলার মধ্যে ৬টির পুলিশ আবুল খায়ের বাবু’র বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেছেন, রয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। বিভিন্ন এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে করতে বাবু এলাকায় এখন এক মূর্তিমান আতংক।
স¤প্রতি বহুলালোচিত আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে বাবু অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি ও লুটপাটের পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিয়ে লিখে নিয়েছেন এক হিন্দু বৃদ্ধ দম্পতির প্রায় সাড়ে ৯ বিঘা জমি। এরপরও থেমে নেই সে, দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে ওই নিরীহ পরিবারের শেষ সম্বল ২৬ শতক জমিসহ দ্বিতল বাসভবন। ডাকাত বাহিনীর সর্দার দুর্ধর্ষ আবুল খায়ের বাবুর বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ও জমি দখলের প্রতিকার এবং তার কবল থেকে পরিত্রাণ চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাসানকাটি গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাস (৫৫)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার বৃদ্ধ কাকা অহেন্দ্র বিশ্বাস (৬৫) ও কালউ মেনুকা রানী বিশ্বাস (৫৮) এর বাড়িতে প্রায় তিনবছর পূর্বে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার আবুল খায়ের বাবু ও তার বাহিনী। এ সময় হত্যার হুমকি দিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং অব্যাহত হুমকির মুখে কৌশলে অহেন্দ্র বিশ্বাস, তার স্ত্রী মেনুকা রানী বিশ্বাস ও রনজিৎ বিশ্বাসের নামে থাকা ৩ একর ১৬শতক জমি লিখে নেয়। তিনি আরও বলেন, সব জমি লিখে নেয়ার পরও থেকে থাকেনি ডাকাত সর্দার বাবু। এরপর তার নজর পড়ে কাকী মেনুকা রানী বিশ্বাসের নামে থাকা ২৬শতক জমিসহ দুইতলা বাড়ির দিকে। একপর্যায়ে সে ডাকাত বাহিনী নিয়ে বসতভিটা ও বাড়ি দখলে নেয়ার জন্য গত ২৮-০৭-২০২৫ তারিখ দুপুর ২ টার দিকে জোরপূর্বক বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। বেশ কিছুদিন বাইরে মানবেতর জীবনযাপন করার পর ১৯ মামলার আসামি ডাকাত সর্দার আবুল খায়ের বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালে কাকা ও কাকী বর্তমানে বাড়িতে বসবাস করতে পারছেন। তবে আবুল খায়ের বাবু জামিন পেয়ে বাইরে এসে অহেন্দ্র বিশ্বাসের পরিবারকে হত্যা করবে বলে বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে নিতাই বিশ্বাস। এমতাবস্থায় বৃদ্ধ কাকা, কাকী ও ভাতিজার জমি জোরপূর্বক লিখে নেয়ার প্রতিকার, শেষ সম্বল বাসস্থান রক্ষা এবং দুর্ধর্ষ ডাকাত ও ভূমিদস্যু আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে বাবুর হাত থেকে পরিবারের সদস্যরা যাতে পরিত্রাণ পায় সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন। এ সময় মথুরেশপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মনসুর হালদারের ছেলে নজরুল হালদার, মরহুম কুরবান আলী কারিকরের ছেলে জাহাঙ্গীর কারিকর ও মরহুম আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন।


 

"
"