কণ্ঠনীল

বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ


Breaking

Tuesday, November 25, 2025

November 25, 2025

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমা চাইতে বলল যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ঠেকাতে না পারার অপরাধে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সম্প্রতি সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি এই দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে হলে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্পষ্ট ভাষায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সভায় মহাসচিব গুতেরেসের উদ্দেশ্যে আরো বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ফলকার টুর্কের সতর্ক বার্তার মুখে নির্বাচিত সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করে দিয়েছিল ঠিক তেমনি দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনও চিরতরে বন্ধ করে দিতে তিনি যেন পরামর্শ দেন। 

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্লোরাল পার্কে গোল্ডেন ইয়ার্স কম্যুনিটি সেন্টারে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নবেন্দু দত্তের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু গোপের সঞ্চালনায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সভাটি চলে। সভায় সংগঠনের তিন সভাপতি ডা. টমাস দুলু রায়, ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য ও রণবীর বড়ুয়া এবং ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুশীল কুমার সাহা ছাড়াও প্রায় দেড়শ জনেরও বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভায় নিউইয়র্কের অন্যতম সংগঠন হিন্দু হেরিটেইজ অফ নিউইয়র্ক, ইউনাইটেড হিন্দুজ অফ ইউএসএ, বাংলাদেশে পূজা সমিতি, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ, গীতা সংঘ, রাধামাধম মন্দির, মহামায়া মন্দির, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতা এবং সমতল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ, খৃষ্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদানে ড. ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা ও অনীহার তীব্র নিন্দা জানান এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের কয়েকজন দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিককালে অত্যাচারের ঘটনাবলী বর্ণনা করা ছাড়াও ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে রামু, নাসিরনগর, মুরাদনগর, সাঁথিয়া, নানুয়ার দিঘীর পাড়সহ ভয়াবহ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছিল এবং তাতে কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল সে ইতিহাসও নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।

সভায় বক্তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংখ্যালঘুদের ঘটনাকে অস্বীকার না করে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপরাধে অপরাধী মৌলবাদী ও উগ্রপন্থীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, বিচার করাসহ ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংস হওয়া সম্পত্তির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, নির্বাচনের পর সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সংখ্যালঘু সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত হেইট ক্রাইম ও স্পীচ আইন, ভারতের মত সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, ‘সংখ্যালঘু’ ও ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি এবং ‘সেপারেট ইলেক্টরেট’ ব্যবস্থা সংযুক্ত করে একটি টেকসই ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করবেন, যার সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ সরকারকে একটি খসড়া সংখ্যালঘু সুরক্ষা বিল দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বক্তারা ড. ইউনূসকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়ে বলেন, তিনি যেন আগের তত্বাবধায়ক সরকারগুলোর মত দেশের সব রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে একটি  সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। কারণ বৈষম্যমূলক আচরণ ও সহিংসতার অভিযোগে কেবল একটি বিশেষ দলকে বাদ দিয়ে, অন্যান্য দল যারা ১৯৭১ সালের গণহত্যা, আদিবাসী গণহত্যা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিরোধী দলের ওপর গ্রেনেড হামলা বা থানা দখল, লুটপাট, মেট্রো রেলে অগ্নি সংযোগ, সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মত অসংখ্য মানবতা বিরোধী জঘন্য অপরাধে অপরাধী তাদের নিয়ে নির্বাচন করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর। সেটা বিশ্বের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না।

এরআগে, সভার শুরুতেই সংখ্যালঘু নির্যাতনে নিহতদের উদ্দেশ্যে প্রদীপ প্রজ্বলনের সঙ্গে ‘দেখ আলোয় আলো আকাশ’ গানটি পরিবেশন করা হয়।  এরপরই বাংলাদেশ থেকে সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরে আসা ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও নারায়ণগঞ্জের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর প্রদীপ ভৌমিক সংখ্যালঘু নির্যাতনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় সভাস্থলে একটি পুস্তিকা বিলি করা হয়, যাতে নিহত-ধর্ষিতাদের সংখ্যা ছাড়াও যশোরের অভয়নগর, রংপুরের গঙ্গাছড়া, চট্টগ্রামের হাজারিগলি, পার্বত্য চট্টগ্রামে গোটা বৌদ্ধ পাড়ার একশটি বাড়ি ও ক্রিসমাস ঈভে খৃষ্টান পাড়ার ১৭টি বাড়িকে অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা ও খাগড়াছড়ির গুইমারায় নাবালিকা ধর্ষণের প্রতিবাদরত তিন জন মারমা আদিবাসীকে হত্যার বিশদ বর্ণনা ছিল। সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু গোপ গত এক বছরে বাংলাদেশের বিপন্ন সংখ্যালঘুদের সাহায্য ও সুরক্ষার্থে নানা উদ্যোগের বিস্তারিত বর্ণনা দেন এবং সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ চন্দন সেনগুপ্ত গত এক বছরের হিসাব দাখিল করেন।

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন শিতাংশু গুহ, ড. জিতেন রায়, ড. সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার, রূপকুমার ভৌমিক, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, প্রদীপ মালাকার, তপন সেন, রীণা সাহা, পার্থ তালুকদার, সুভাষ সাহা, নির্মল পাল, রমেশ নাথ, রণবীর বড়ুয়া, ড. টমাস দুলু রায়, ভজন সরকার, রামদাস ঘরামী, সুশীল সিনহা, নিতাই নাথ, বিশ্বজিৎ সাহা, রাজীব দে, এফ.শাওন দেবনাথ, এডওয়ার্ড হলসানা, পিয়াস কাঞ্চন দাশ, অঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ। ২৬জন নবাগত তরুণ-তরুণী সদস্য তাদের অভিজ্ঞতা, আশা প্রত্যাশার কথা জানান সভায়।  


Monday, November 24, 2025

November 24, 2025

শ্রীপুরে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে যুবক আটক


 গাজীপুরের শ্রীপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে বাঁধন সাহা (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেসবুক মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপে নবীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদটি জানাজানি হওয়ার পর বরমী বাজারের বিভিন্ন মসজিদ–মাদ্রাসার ইমাম–মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শ্রীপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধন সাহাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে হাজারো ইসলামি তৌহিদী জনতা জড়ো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তৌহিদী জনতার দাবি, আটককৃত বাঁধন সাহা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন)–এর একজন সক্রিয় সদস্য। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরমী শাখার সভাপতি মাওলানা মাহাদী হাসান বলেন, সে ইসকনের সক্রিয় সদস্য। আমাদের নবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার সাহস সে কোথা থেকে পেয়েছে? এর সুষ্ঠু বিচার না হলে ইসলামি তৌহিদী জনতা নিজস্ব ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

স্থানীয় সুমন কর্মকার বলেন, বাঁধন গরিব পরিবারের ছেলে। সে ফেসবুক ব্যবহার করলেও বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা তদন্তেই বের হবে। আমরা এলাকায় দীর্ঘদিন হিন্দু–মুসলিম সহাবস্থানে বসবাস করি—এই পরিবেশ নষ্ট হওয়া উচিত নয়। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়াও ঠিক নয়।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয়। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাঁধন ইসকনের সদস্য কি না—তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় মাওলানা মাহাদী হাসান বাদী হয়ে অভিযোগ করলে সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

November 24, 2025

গলাচিপায় সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক ও কবলাকৃত সম্পত্তির ধান জোর দখল করার চেষ্টা


পটুয়াখালীর গলাচিপায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কবলাকৃত ও রেকর্ডীয় সম্পত্তির ভোগ দখলীয় জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গজাালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর হরিদেবপুর গ্রামে। এঘটনায় ভূক্তভোগী কানাই চন্দ্র শীল গত ২২ নভেম্বর (২০২৫) গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি একই গ্রামের মোঃ কালু সরদারের ছেলে জয়নাল সরদার (৭০) ও চান্দু সরদার (৬৫), ইব্রাহিম সরদার (৩৫), পিতা- জয়নাল সরদার, মস্তফা সরদার (৩০), পিতা- চান্দু সরদার এদেরকে বিবাদী করেছেন। থানা সূত্রে জানা যায়, কানাই চন্দ্র শীল প্রায় তার বাবা-দাদাদের আমল থেকে ৩ একর ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে পান এবং সে থেকেই তিনি জমি চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছেন। জমির উপর ফসল, বাগান, ঘর-বাড়ি ও পুকুর নির্মান করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে জয়নাল সরদার গং কানাই চন্দ্র শীলের জমিতে আপত্তি দিয়ে জোর পূর্বক  অবৈধভাবে ধান কাটার পায়তারা চালা”েছ। এবিষয়ে কানাই চন্দ্র শীল বলেন- আমার বাবা-দাদাদের আমল থেকে আমি এই জমি ভোগ দখল করে খা”িছ। আমার জমির মৌজা ইচাদী জোয়ার, জে.এল নং- ৩০ ও ৩১, আর.এস খতিয়ান- ৫৫৮, বি.এস খতিয়ান- ২০৮, বি.এস দাগ- ২৫৩৭, ২৫৭২, ২৫৯৩, ২৬২৩, আর.এস নং- ৫৯, এস.এ নং- ১০২, জে.এল নং- ৩১, দাগ নং- ৪৮০, জমির পরিমান: ৩ একর ৪১ শতাংশ। আমার সকল কাগজপত্রাদি আমার নামে খাজনা চলমান আছে। প্রতিপক্ষরা গায়ের জোরে আমার জমির ধান কেটে নেওয়ার পায়তারা চালা”েছ। এবিষয়ে গজালিয়া ইউনিয়নের সমাজ সেবক ইউসুফ গাজী, সুনীল চন্দ্র শীল, বারেক মৃধা এরা বলেন, কানাই চন্দ্র শীলের বাবা-দাদাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এই সম্পত্তি তাদের ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি তারাই ভোগ দখল করেছেন। হঠাৎ করে ৫ আগষ্টের পরে (২০২৪) সংখ্যালঘুদের জমি ভোগ দখল করে খাওয়ার জন্য একটি মহল পায়তারা করছে। এবিষয়ে জয়নাল সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আমাদেরও জমি আছে। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, জোর পূর্বক জমির ধান নিয়ে গেলে আইনগত অপরাধ আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এস.আই সোহেল রানাকে ঘটনা¯’লে পাঠানো হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দু’পক্ষকেই থানায় ডাকা হবে।

 

Saturday, November 15, 2025

November 15, 2025

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার আত্মপ্রকাশ

 

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায় ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং আসন্ন নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা নামে একটি নতুন জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। 

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে-শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরাম মিলনায়তনে এক সভার মাধ্যমে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, অবধুত সংঘ বাংলাদেশ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং সামাজিক সংগঠনসহ মোট ৬৭টি সংগঠন এই নতুন জোটে যোগদান করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে-অনুষ্ঠানে জোটের নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একত্রিতভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই জোট আগামী জাতীয় নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করবে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে কাজ করবে।

জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠন বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)-এর সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস এবং সহ-সভাপতি আর কে মন্ডল রবীন উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়াও জোটে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য শরিক সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নতুন জোটের প্রতি তাদের সংহতি প্রকাশ করেন।

Tuesday, November 11, 2025

November 11, 2025

সিরাজগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের সম্পত্তি দখলচেষ্টার অভিযোগে মানববন্ধন


 সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ও গোপাল বিগ্রহ মন্দিরের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে মন্দির কমিটি ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা দখলচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সেবায়েত আশুতোষ সান্যাল বলেন, ‘একসময় জায়গাটি ক তফসিলভুক্ত ছিল। আদালতের মাধ্যমে অবমুক্ত করে সরকারের কাছে ৫৩ বছরের খাজনা পরিশোধের পর এটি মন্দিরের নামে নিবন্ধিত হয়। এখন উষাকোল গ্রামের কিছু ব্যক্তি জোর করে সেই সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। বাধা দিলে তারা হুমকি ও চাঁদা দাবি করছে।’

তাড়াশ থানার ওসি জানান, সম্পত্তিটি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের মালিকানাধীন। কেউ দখলের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"
"