শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি রাজধানীর রবিদাস, হরিজন ও তেলেগু কলোনিতে পৃথক মতবিনিময়সভায় ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এসব দাবি তুলে ধরেন। আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ-অনশন ও গণসমাবেশ এবং ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ কর্মসূচি সামনে রেখে এসব মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা হরিজন, তেলেগু, রবিদাস সম্প্রদায়, চা-বাগানের সম্প্রদায় অর্থাৎ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যেও যারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার, তাদের সম-অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নের দাবি করেছিলাম। আমাদের দাবিকে ধারণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তাদের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়নের অঙ্গীকার করেছিল। এই আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকার একটি বিল তৈরি করলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হচ্ছে না। একইভাবে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইনসহ সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অন্যান্য নির্বাচনী অঙ্গীকারও সরকার বাস্তবায়ন করেনি।
স্বাধীন দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বৈষম্য অর্ধশতাব্দীতেও কোনো সরকারই নিরসন করেনি। বরং দিন দিন বৈষম্য বেড়েছে, সংখ্যালঘুদের অধিকারের ক্ষেত্র কমেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে একই সঙ্গে রাজপথের আন্দোলন এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব। আমরা প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।
আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা সেই সত্তরের নির্বাচন থেকে আজ অবধি আপনাদের পোটেনশিয়াল ভোটার। আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আপনার বিগত নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করেই আপনাকে সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন করতে হবে।’
ওয়ারী রবিদাসপাড়া, গোপীবাগ-টিটিপাড়া রেলওয়ে হরিজন কলোনি এবং ধলপুর তেলেগু কলোনিতে অনুষ্ঠিত এসব মতবিনিময়সভায় ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণ-অনশন ও গণ-অবস্থান এবং ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ সফল করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সংগৃহীত: kalerkantho.com
No comments:
Post a Comment