কণ্ঠনীল

শুক্রবার ( ২১ এপ্রিল ) বিকাল ৫.৩০ ঘটিকায় মহানগরের  শীতলক্ষ্যা  এলাকার শ্রীশ্রী সত্য নারায়ণ  জিউর মন্দির  এ বিশেষ প্রার্থনার  আয়োজন করা হয়। প্রার্থনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও  নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক গোপীনাথ পাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড সৌরভ দেউরী। 

প্রার্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী সত্য নারায়ন জিউর মন্দিরের সভাপতি সুভাষ পাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস,সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল,  নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল,সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, সহ সভাপতি আশিষ কুমার দাস,নারায়ণগঞ্জ জেলা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগরের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি সাহা হিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন দেবনাথ, বিপ্লব কুন্ড,জেলা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমার সেরাওগী সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস,অর্থ সম্পাদক পিন্টু রায়,  মহানগরের সহ সভাপতি বিকাশ সাহা, মহানগরের  নেতা নারায়ন মজুমদার,সুব্রত সাহা, প্রশান্ত কুমার সাহা,অজয় সূত্রধর, সত্যরঞ্জন দেবনাথ,১৫নং ওয়ার্ড সভাপতি বিপ্লব ঘোষ মনা,সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, ১১ নং ওয়ার্ড সভাপতি চন্দন কুমার চন্দ, ১৪ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস,১৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি সমীর দেবনাথ,সাধারণ সম্পাদক মিঠু চক্রবর্তী,  ১৭ নং সভাপতি প্রদীপ দাস,১৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি মিঠু চক্রবর্তী, ২১ নং ওয়ার্ড সভাপতি নিবারন চন্দ্র দাস,২২ নং ওয়ার্ড সভাপতি হারাধন দাস,২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি জিতু বর্মন, মহানগর নেতা সুমন সাহা, কৃষ্ণ সাহা,মহানগরের  যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, বন্দর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি তুলসী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক  জিতু দাস, সুমন সাহা প্রমুখ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে স্বাধীনতা অর্জন করা রাষ্ট্র বাংলাদেশে আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাম্প্রদায়িকতার উত্থান দেখতে পাচ্ছি। জাতির চেতনার বাতিঘর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ থেকে মুক্ত নয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ক্যান্টিনে ইদানিং গরুর মাংস পরিবেশন করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও রমজান মাসে বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা টানা এক মাস ধরে খাবারের সঙ্কটে ভুগছে। যদি রমজান মাসে ক্যান্টিন বন্ধ রাখতে হয় কিংবা ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয় তাহলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় সাধারণ কোন ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা চলবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কিংবা হলগুলোতে পৃথক মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা নেই। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ পেলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায় না। সম্প্রতি কয়েকটি হলে পৃথক প্রার্থনা কক্ষ করা হলেও সেগুলোও কার্যত যথাযথ উপাসনালয় নয়।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে সকল ধর্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করা এবং সকলের ধর্মাচার পালনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।