নিজ দেশের ২৭টি রাজ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা শেষে তিনি গত বছরের অক্টোবরে ফেনীর বিলোনিয়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশের ৪৫টি জেলা ঘুরে গত সোমবার (৬ মার্চ) রাতে খুলনায় আসেন তিনি। গত দুদিনে তিনি খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেন। এ সময় তিনি ‘শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের পরিবর্তন দরকার’, ‘একজন মানুষ পরিবেশে পরিবর্তন আনতে পারে না, আমাদের সবারই পরিবর্তন হওয়া উচিত, কারণ পরিবেশ সকলের’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষকে পরিবেশ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
রোহান আগারওয়াল বলেন, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে হাঁটা শুরু করি। সেখান থেকে নিজ দেশের ২৭টি রাজ্য হেঁটেছি। এই যাত্রায় আমার মূল উদ্দেশ্য পরিবেশের বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো। আমি মনে করি একজন মানুষ ছোট হোক, বড় হোক, ধনী বা গরিব হোক, কৃষক হোক বা ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই জন্মের পর থেকেই পরিবেশ থেকে অক্সিজেন নেয়। আমরা যে খাবার খাই, পানি খাই সব কিছু প্রকৃতি থেকে আসে। অথচ তার পরিবর্তে আমরা পরিবেশ দূষণ করছি। এই বিষয়টি বোঝা আজ খুবই জরুরি। কারণ আমরা যদি আজকে না বুঝি তাহলে আগামীতে খুবই সমস্যা হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসছে এগুলো আরও বেশি ভয়াবহ হবে। এ জন্য এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে আমি এই যাত্রায় এসেছি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমি ৯৪০ দিন এই যাত্রা করছি। ১৬ হাজার কিলোমিটার হেঁটেছি এবং কখনো কখনো লিফটও নিয়েছি। আমি ভ্যানের লিফট নিয়েছি। কিন্তু কোনো বাস-ট্রেনের লিফট নিইনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় আমি যাব। এরপর আমি মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, মাকাও, সিঙ্গাপুর, চায়না, হংকং, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও সাইবেরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করব। সাইবেরিয়ার ওমিয়াকোম পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান। যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৭২ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়। সাইবেরিয়া যাওয়ার জন্য আমার আরও ৫ বছর সময় লাগবে এই যাত্রা করতে। যদি আপনারা আমার এই যাত্রায় অংশ নিতে চান তাহলে আমার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে যুক্ত থাকবেন।
সংগৃহীত: dhakapost.com
No comments:
Post a Comment