বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ


Breaking

Sunday, September 21, 2025

নিজ নিজ উপাসনালয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির কথা বলুন

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সব ধর্মের মানুষকে নিজ নিজ উপাসনালয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন হিন্দুধর্মীয় নেতারা। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি) আয়োজিত ‘আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর : বৈষম্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক সভায় বক্তারা বৈষম্য দূরীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ চলছে। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থেকে নয়, জনগণের সমর্থন নিয়েই নিরাপদে দুর্গাপূজা পালন করতে চাই।”
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি নেই।” এবারের দুর্গাপূজায় সরকারের পক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য চলছে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে বৈষম্য দূর করতেই হবে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মকবুল হুসেইন বলেন, “সংখ্যালঘুরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলে তাদের অধিকারও প্রতিষ্ঠা পাবে। অনুপাতভিত্তিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংখ্যালঘুরা প্রায় ২৪টি আসন পেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা পেতে হবে। ইসলাম সঠিকভাবে প্রতিপালিত হলে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা থাকে না।”
এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে বলেন, “সংখ্যালঘু নয়, প্রতিটি মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ-এনসিবির চেয়ারম্যান কাজী ছাব্বীর বলেন, “প্রতিমা ভাঙচুরের একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। বিচার হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। মসজিদে আজান হবে, মন্দিরে ঘণ্টা বাজবে—এটাই সম্প্রীতি।”
অনুষ্ঠানের লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায় আসন্ন দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসপির উপদেষ্টা অধ্যাপক অশোক তরু সাহা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।


 

No comments:

Post a Comment

"
"